অপরাধ সূত্র :
আমিনুল ইসলাম বাবু :
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধীদের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার রুহুল কবির খান।
সম্প্রতি ঢাকা উদ্যান, জেনিভা ক্যাম্প, বসিলা ও চাঁদ উদ্যানে ছিনতাই, ডাকাতি এবং কয়েকটি হত্যার ঘটনার পর ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ ছাড়াও র্যাব ও সেনাবাহিনী তৎপর হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রোববার রাতেও ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে মোহাম্মদপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল কবির বলেন, "মোহাম্মদপুর এলাকার কিশোর অপরাধী ও তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য নেপথ্যে যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, জেনিভা ক্যাম্প ও বুদ্ধিজীবী কবরস্থানসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারে কথা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মোহাম্মদপুরে ‘কিশোর গ্যাং একটি অভিশপ্ত কালচার’ মন্তব্য করে রুহুল কবির বলেন, “৫ অগাস্টের আগে থেকে এ কালচার চলমান। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
এই গ্রুপের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা রাজনৈতিক মদদ পাওয়া গেলে সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সম্প্রতি জেনিভা ক্যাম্পে চারজন খুন হওয়ার প্রসঙ্গও আসে সংবাদ সম্মেলনে। উপ কমিশনার রুহুল কবির খান বলেন, মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘর্ষ আর হত্যার ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত জেনিভা ক্যাম্প থেকেই নারী পুরুষ মিলে অর্ধ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে ‘বিশেষ চেকপোস্ট’ বসিয়ে অভিযান পরিচালনার কথা বলেন তিনি।
রোববার রাতে যে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন ‘দেশীয় অস্ত্র বানানোর কারিগর’ বলে পুলিশের ভাষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এর মধ্যে নয়জনকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে অভিযানে সব মিলিয়ে ৪০টি ধারালো অস্ত্র, চাকু ও রামদা উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদপুরবাসীর নিরাপত্তার জন্য পুলিশি নজরদারি বাড়ানোসহ ‘বিশেষ অভিযান ও ব্লক রেইড’ চলছে বলেও জানান উপ কমিশনার রুহুল কবির খান।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ জিয়াউল হক, সহকারী কমিশনার মাসুদ হাসান, মোহাম্মদপুর থানার ওসি শাহরিয়ার হাসান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।