শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হাবিবুল্লাহ নামের ৬৪ বছরের বৃদ্ধ গ্রেফতার।
Shafiul
প্রতিবেদন প্রকাশ:
১৬ এপ্রিল ২০২৫ | সময়ঃ ০৫:০৩
অপরাধ সূত্র :
অপরাধ সূত্র ডেস্ক :
কিছুদিন পূর্বে মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় বাংলাদেশে। অবশেষে আছিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল পুরো দেশজুড়ে। সেই শোক কাটিয়ে না উঠতেই গতকাল সাভার কাউন্দিয়া এলাকায় বিথী (১১) নামের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে হাবিবুল্লাহ (৬৪) নামের এক বৃদ্ধ কে গ্রেফতার করেছে সাভার থানা পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিথী নামের ওই শিশুটি কাউন্দিয়া এলাকার জাপানির গলিতে তার দাদীর সাথে বসবাস করে। বিথীর পিতার নাম চান মিয়া ও মায়ের নাম পিংকি। বিথীর ভাষ্যমতে তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, বাবা আরেকটা বিয়ে করে আলাদা থাকে। আর বিথির মা শাহ্ আলী মাজার এর আশেপাশে থাকে। গতকাল সন্ধার পরে আনুমানিক সময় সন্ধা ৭ টার দিকে কাউন্দিয়া বসুন্ধরার প্লটে হুমায়ন কবিরের বাড়ির ছাদে একটি কক্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিথী। আসামি হাবিবুল্লাহ ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার পিতার নাম ছলিমুল্লা,গ্রাম- পাইকপাড়া, পোস্ট- কালিবাজার,থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। এ ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের জবাবে বিথী ও তার খালাতো বোন নুরি আক্তার ফাতেমা সাংবাদিকদের জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় তার সমবয়সী খালাতো বোনের সাথে নদীর পাড়ে আসছিলো তারা। ওই সময় অভিযুক্ত হাবিবুল্লার বাসার সামনে থেকে আসার সময় তাদের দুজনকে ধরে বাসার মধ্যে নিয়ে যায় হাবিবুল্লা। পরে তাদেরকে জোর করে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। বিথী ও তার খালাতো বোন ফাতেমার ভাষ্য মতে ওই বাসার ছাদে একটি কক্ষে বিথির সাথে এই অপকর্ম করে হাবিবুল্লাহ নামের ৬৪ বছরের ওই বৃদ্ধ। পরবর্তীতে বিথীর হাতে ১০ টাকার একটি নোট দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায় হাবিবুল্লাহ। শিশু দুটি সেখান থেকে বের হতে চাইলে তাদেরকে অনেক সময় আটকে রাখা হয় বলেও জানিয়েছে বিথী ও ফাতেমা। পরে তারা কান্নাকাটি শুরু করলে বাসার নিচে অন্যান্য লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেয়। সেখান থেকে বের হয়ে বিথী ও ফাতেমা তাদের আরো কয়েকজন খেলার সাথীদের সাথে এই ঘটনার কথা জানায়। পরবর্তীতে তারা পার্শ্ববর্তী বাসায় বসবাসকারী বাউল শিল্পী কুদ্দুস বয়াতির স্ত্রী পাপিয়া কুদ্দুসের সাথে ঘটনাটি খুলে বলে। পাপিয়া কুদ্দুস বিষয়টি জানার পর এলাকার লোকজনকে জানালে হুলুস্থুল বেঁধে যায়। ওই সময় বীথি ও ফাতেমার খেলার সাথীরা ঘটনার সাক্ষী দেয়ায় অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহর ছেলে রাজা দুটি মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে বলে সাংবাদিকদের জানায় কুদ্দুস বয়াতির স্ত্রী পাপিয়া কুদ্দুস।
এই ঘটনায় আজ রাত ২ টার দিকে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে সাভার থানার এসআই আব্দুর রহিম বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে আসামি হাবিবুল্লাহ ও ভিকটিম শিশু বিথি ও তার খালাতো বোন ফাতেমাকে সাভার থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) (খ) ধারায় আাজ সাভার থানায় একটি মামলা রজু করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন মামলার আইও এসআই শফিক। যার মামলা নং - ৪৫ তারিখ ১৬/০৪/২০২৫ ইং।