অপরাধ সূত্র :
ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরের পরিণত হয়েছে। শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ব্যাহত ও স্নায়ুর ক্ষতি করে বায়ুদূষণ। বেড়ে ওঠা শিশুরা দূষিত বাতাসের কারণে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ যেমন নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিসসহ অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হয়।
দূষিত বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, আরপিএম (রেসপিরেবল পার্টিকুলেট ম্যাটার), এসপিএম (সাসপেন্ডেড পার্টিকুলেট ম্যাটার)–এ ভাসমান কণার পরিমাণ এতটাই বেশি যে শিশুর সংবেদনশীল শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষণের শিকার দরিদ্র নারী, শিশুরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কারণ তাদের বেশিরভাগই দূষিত এলাকায় বসবাস করেন, যেখানে সীসা দূষণেরও ঝুঁকি আছে। ফলে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশে ও স্নায়ুবিক ক্ষতি হতে পারে।
ফুসফুসে থাকা সারফেকট্যান্ট নামের তরল পদার্থ ফুসফুসের দুটি অংশকে একসঙ্গে আটকে যেতে বা সংকুচিত হয়ে যেতে বাধা দেয়। সারফেকট্যান্ট না থাকলে শ্বাসকষ্ট হবে। দূষিত বায়ু ফুসফুসের এই তরল পদার্থ নষ্ট করে ফেলে। দূষিত বাতাসে বেড়ে ওঠার কারণে শিশুরা তাৎক্ষণিক শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ যেমন নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিসে ভোগে। আবার বায়ুদূষণের কারণে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগেও আক্রান্ত হয়। কখনো কখনো এর প্রভাব বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। কোনো কোনো সমস্যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে থাকে।
বায়ুদূষণ সময়ের আগে কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুদের ব্যাপক ক্ষতি করে। শিশুর মধ্যে অস্থিরতা, ঘুম কম হওয়া, খিটখিটে স্বভাব ও শিশুর বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্তেও বায়ুদূষণ বিশেষভাবে দায়ী। বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুসের ক্যানসার, দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা, হৃদ্যন্ত্র, চোখ, ত্বক, কিডনি ও প্রজননক্ষমতা ব্যাহত হয়।
বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে শুধু মাস্কের ব্যবহারই নয়, দূষণ ঠেকাতে বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করতে হবে।