অপরাধ সূত্র :
নিজস্ব প্রতিনিধ : রাজধানী ঢাকার পল্লবী থানার বাউনিবাধ এলাকার ত্রাস র্যাব ও পুলিশের কথিত সোর্স হিসাবে খ্যাত চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী, গাড়ি চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা , জাসদ ইনুর দক্ষিণ হস্ত বাস্তহারা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল ওরফে কসাই আউয়াল পরিচালিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনীর চাঁদাবাজি, জমি দখল, ভাঙ্গারি ব্যবসার আড়ালে নানা অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডের অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন আশে পাশের এলাকাবাসী।জানা যায় ১৯৮০ সালে দিকে বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় এসে মাছ বিক্রি শুরু করেন আব্দুল আউয়াল পরবর্তীতে মাংসের দোকান দিয়ে কসাই আউয়াল নামে বেশ পরিচিতি পায়। মাংস ব্যবসার পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ শুরু করেন, পুলিশি ক্ষমতায় পল্লবী এলাকায় তৈরি করেন ত্রাসের রাজত্ব শুরু করেন তালতলা বস্তিতে ইট বালুর ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা, তাছাড়া বাউনিয়াবাদ ডি ব্লক সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে সমিল বসিয়ে পরবর্তীতে দখলকৃত জায়গা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি করেন এছাড়া বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বাউনিয়াবাদের জনৈক আবুল কালামের বাড়ির কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে বাড়ির দখল করে পরবর্তীতে কালামের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কালামকে বাড়ি ফেরত দেয়, বাউনিয়াবাদ এ ব্লকে ২০ নং লাইনের ১৯ নং বাড়িটি জনৈক সীমার নিকট বিক্রি করে পুনরায় বাড়িটি দখল করার চেষ্টা করেন। আব্দুল আউলের কোন বৈধ আয়ের ভালো কোন উৎস না থাকলেও তার চার স্ত্রী কৈতরি, ফরিদা, রোকেয়া, ঝর্ণা প্রত্যেককে রেখেছেন রানীর মত করে, দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার। তার আয়ের প্রধান উৎস ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম দোসর হাসানুল হক ইনুর দক্ষিণ হস্ত হিসাবে কাজ করে বিভিন্ন অনিয়ম, দখন বাণিজ্য, জাল জালিয়াতি, প্রতারণা, মামলা বাণিজ্য,নানা অবৈধ পন্থা। পুলিশ ও র্যাবের সোর্স হিসাবে কাজ করার কারণে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য । ইতিপূর্বে গাড়ি চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা হিসাবে র্যাব হাতে গ্রেফতার হয়েছিল, নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একাধিক ব্যক্তি জানান ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনের আগে ইনুর নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের দমাতে মিরপুর ১০ নম্বরে শতাধিক লোক নিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এই আউয়াল, এখনো অন্তবর্তী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে বলে জানা যায়। হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগ ও তার দোসোরা গা টাকা দিলেও আউয়াল বাউনিয়াবাদ এলাকায় পুড়া মবিল ও ভাঙ্গারি ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বেশ দাপটের সাথে। এলাকার কতিপয় বিএনপি'র দুর্নীতিবাজ নেতা ও পাতি নেতাকেমোটা অংকের টাকা দিয়ে তাদের ছত্রছায়ায় থেকে তার সকল অনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ যাহা অনুসন্ধান শেষে প্রকাশ করা হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জ্ঞাতার্থে, এলাকার সচেতন মহল সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যার সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট হাসানুল হক ইনুর দক্ষিণ হস্ত আব্দুল আউয়াল কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে