নিউজ ডেস্ক | /APARADHSUTRA.COM
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, সময়ঃ ১০:৩৫
কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মানসিক চাপ কমিয়ে আনার পাশাপাশি তাদের কাজ/জীবনে ভারসাম্য আনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে নিজের স্মার্টফোনটির ব্যবহার, এমনই দাবি গবেষকদের। বিষয়টি উঠে এসেছে ‘ইউনিভার্সিটি অফ গ্যালওয়ে’ ও ‘ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন’-এর চালানো নতুন এক গবেষণায়। গবেষণাটি চালানো হয়েছে এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ইউরোপ অংশের শাখায়। তবে, বৈশ্বিক ওই কোম্পানির নামটি অপ্রকাশিত রয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানি নিজেদের ফোন সংশ্লিষ্ট নীতিমালায় নতুন এক পরিবর্তন এনেছে, যেখানে এর আগে ব্যক্তিগত কাজে ফোন ব্যবহারের সুযোগ কম থাকলেও এখন কাজের বাইরেও অন্যান্য কারণে ফোন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে কোম্পানিটি।
এ গবেষণায় কর্মক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিভিন্ন এমন সম্ভাব্য সুবিধার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে কর্মীর কাজের পারফরম্যান্সে তেমন বড় প্রভাব পড়ার ঝুঁকি নেই। গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ গ্যালওয়ের ‘জে.ই. কেয়ারনেস স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স’ বিভাগের অধ্যাপক ইয়ইন হোয়েলান।ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, পরীক্ষা চালানো ফার্মা কোম্পানিটি ৯০-এর দশকেই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মতো বিষয়াদিকে কারণ দেখিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। এর সূত্রপাত ঘটেছিল বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যের আশপাশে ফোন ব্যবহার কর্মীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে, এমন ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে। তবে, এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোম্পানির কর্মীরা অসন্তোষের কথা জানানোর পাশাপাশি দাবি করেছিলেন, এতে তাদের কাজে মনোযোগ বসে না। এমনকি কোম্পানির শীর্ষ ব্যবস্থাপনাও বলেছে, কোম্পানির ওই শাখায় এমন নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, দপ্তরটি প্রযুক্তিবিদ্বেষী। আর এতে কোম্পানির অন্যান্য শাখার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এ গবেষণার আগে কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন আনার সুযোগ পেতেন কেবল কোম্পানির শীর্ষ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা।তবে, প্রায় এক বছর ধরে চালানো এ গবেষণায় কোম্পানির প্রায় ৪০জন কর্মীর জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পাশাপাশি তাদেরকে কাজের সময় ব্যক্তিগত স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। গবেষণায় একইসংখ্যক কর্মীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়, যারা নিজে থেকেই ফোন বাড়িতে রেখে দপ্তরে কাজ করতে আসতেন। এছাড়া, কর্মীদের ‘কোয়ালিটিটিভ ইন্টারভিউ’ বা গুণগত সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে এ গবেষণার অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এ পরীক্ষার মূল ফলাফলগুলোর মধ্যে রয়েছে:
© অপরাধ সূত্র ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।