আমিনুল ইসলাম বাবু :
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের ইমারত পরিদর্শকদের কর্তব্যের অবহেলা পরিকল্পিত নগরায়নের অন্তরায়হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায়, রাজধানীর মহাখালীস্থ আরজত পাড়া, রসুল বাগ ও পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকা পূর্বে জোন ৪ এর অন্তর্ভুক্তি থেকে জোন ৫ এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জোন ৫ এর অন্তরভূক্ত হওয়ার পরপরই দায়িত্বে থাকা ইমারত পরিদর্শক তুহিন রেজাকে রাজউকের নিয়ম লংঘন করে নির্মিত বেশ কয়েকটি ভবন সম্পর্কে অভিযোগ জানালেও অদ্যাবধী প্রায় ৬ মাসের অধিক অতিবাহিত হওয়ার পরেও অভিযুক্ত ভবন সমুহের বিষয়ে কার্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অভিযুক্ত ভবন সমুহের নির্মাণ কাজ শেষের পর্যায়ে চলে এসেছে। আার কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ইমারত পরিদর্শক অভিযুক্ত ভবন সমুহে পরিদর্শন করে হয়তো বলবেন বিল্ডিং এর কাজ শেষ হয়ে গেছে এগুলোর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিবো? অভিযুক্ত নির্মাণাধীন ভবন সমুহের কেয়ার টেকার সাইট ম্যানেজার ও মালিক পক্ষের নিকট থেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানতে পারা যায়, রাজউকের অনুমোদিত প্ল্যানের বাহিরে অতিরিক্ত ছাদ বাড়িয়েছি এর জন্য জরিমানা বা খেসারত দিয়েছি এখন সবই বৈধ। রাজউকের ইনস্পেক্টরদের মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে কাজ করছি, উৎকোচ দেওয়ার প্রমান রেখেছি সাবেক জোন ৪ ও বর্তমান ৫/১ এর ইনস্পেক্টর ও অথরাইজড অফিসারদের।
তাঁহারা আরও জানান রাজউকের ইনস্পেক্টররা সাইট ভিজিট করে উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট এর ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে যায়। আগে নোটিশ করে উৎকোচ নিতো এখন ভয় দেখিয়ে নেয়, আগের মতো আর নোটিশ করে না। ভবন নির্মাণকারীদের বক্তব্য থেকে সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারা যায় রাজউকের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষুন্ন হচ্ছে অসৎ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। গত ১ মার্চ তারিখে এই বিযয়ে সাপ্তাহিক অপরাধ সূত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশহলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নমুনা পরিলক্ষিত হয় নাই।
রাজউক জোন ৫/১ এর ইমারত পরিদর্শক তুহিন রেজার নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত ভবন সমুহের বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই বলে জানান।
রাজউক জোন ৫/১ এর অথরাইজড অফিসার হাসানুজ্জামান এর দপ্তরে গিয়ে ও মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁহাকে পাওয়া যায় নাই।