আমিনুল ইসলাম বাবু :
আজ রবিবার ২৬ জানুয়ারী'২৫ তারিখ রাজধানীর ভাষানটেক থানাধীন দেওয়ান পাড়া রোড এলাকায় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুইটি নির্মাণাধীন ভবনে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব প্রদান করেন রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম, রাজউক জোন-৩/১ এর অথরাইজড অফিসার শেখ মাহাব্বীর রনি। রাজউক কর্তৃক এই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুইটি ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং মালিক পক্ষের নিকট থেকে তিন লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা সহ তিন শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা নেওয়া হয় যেন পরবর্তীতে ভবন নির্মাণে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় না করেন। 
এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সম্পর্কে জোন-৩/১ এর অথরাইজড অফিসার শেখ মাহাব্বীর রনি বলেন, আমরা আজ ভাষানটেক থানাধীন দেওয়ান পাড়া রোড এলাকায় দুইটি ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে দিয়েছি, বীর নিবাস ভবন এর মালিক পক্ষের নিকট থেকে দুই লক্ষ টাকা এবং অপর ভবন মালিক পক্ষের নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা করে সর্ব মোট তিন লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভবন দুইটি নির্মাণ কালে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করবে না এবং ভবনের বর্ধিত অংশ সমূহ নিজ দায়িত্বে অপসারন করে নিবেন মর্মে তিন শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়েছি ভবন মালিকদের পক্ষ থেকে।  নির্মাণাধীন ইমারতে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় রোধকল্পে ভবন নির্মাণকারীদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের মাধ্যমে আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা। ভবিষ্যতেও আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে দুইটি ভবনের সম্মুখস্থ বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে, বীর নিবাস ভবন থেকে দুই লক্ষ টাকা এবং অপর ভবন থেকে এক লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভবন দুইটি নির্মাণ কালে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করবেনা মর্মে ভবন নির্মাণকারীদের নিকট হতে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন  ঢাকাকে নিরাপদ এবং বাসযোগ্য করার জন্য রাজউক চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত আছে  আগামী দিন গুলোতে এটা আরও বেগবান হবে। নতুন ভবন মালিকদের কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভবন করতে হলে রাজউকের নিয়ম-কানুন মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে, রাজউকের নিয়ম অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এই ভ্রাম্যমাণ আদালতে আরও সহযোগিতা করেন  জোন-৩/১ এর সহকারী অথরাইজড অফিসার রতন কুমার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক নূর আলম, ইমারত পরিদর্শক মো. ছামিউল সহ  অন্যান্য ইমারত পরিদর্শক ও কর্মকর্তা গণ।