দূর্নীতিবাজ ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেনের দায় স্থানান্তরে সীমাবদ্ধ।

নিউজ ডেস্ক | /APARADHSUTRA.COM

প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, সময়ঃ ১২:৪০


নিজস্ব প্রতিবেদক : ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেন রাজউক জোন ৩/১ এ দীর্ঘদিন দায়িত্বে আছেন, বিভিন্ন অভিযোগে কেবল মাত্র একই জোনের দায়িত্বের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। তাঁহার বিরুদ্ধে অভিযোগ অপরিসীম। ভাসানটেক থেকে মিরপুর, মিরপুর থেকে কাফরুল থানাধীন এলাকায় স্থান্তরিত হয়েছেন কেবল। বর্তমানে কাফরুল থানাধীন এলাকা জোন ৩/২ এর অন্তর্গত হয়ে গেলে এখনও কোন নতুন এলাকায় দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেন এর দায়িত্বরত এলাকা থেকে পাওয়া বেশ কিছু অভিযোগ এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। ভাসানটেক থানাধীন দেওয়ান পাড়া, বাইশটেকি, শহীদ বাগ এলাকার উচ্ছেদকৃত ১৩টি ভবন থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও বেশি উৎকোচ গ্রহণ করেন। মিরপুর থানাধীন এলাকার সেনপাড়া, বড়বাগ, মনিপুর পশ্চিম কাজীপাড়া, পশ্চিম শেওড়াপাড়া ও পীরের বাগ এলাকার অসংখ্য অভিযোগ এর মধ্যে সেন পাড়া ও মনিপুর এর ১০টি নির্মাণাধীন ভবন থেকে প্রায়২৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহণ করার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। সর্বশেষ কাফরুল থানাধীন ইব্রাহিমপুর এলাকার ৭টি উচ্ছেদকৃত ভবন থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহণ করার সত্যতা নিশ্চিত করে ভবন নির্মাণকারীগণ। এছাড়াও ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেন রাজউক জোন ৩/১ এর তাঁর দায়িত্বরত এলাকার নির্মাণাধীন ভবন সমুহে নোটিশ করে ভবন নির্মাণকারীদের অফিসে ডেকে এনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার ভয় দেখিয়ে প্রতিটি ভবন থেকে ভবনের ডেভিডসন ও আকার আয়তন ভেদে ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা উৎকোচ আদায় করার সত্যতা পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাফরুল, মিরপুর ও ভাসানটেক থানাধীন কয়েক জন ভবন নির্মাণকারীগণ জানান ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেন একজন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, আমরা যখন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করি তখন থেকে ইমারত পরিদর্শকগণ ভবন নির্মাণ তদারকি করলে কেহ ভবনে ডেভিয়েসন করতে পারতেন না। যখন ভবন ৩/৪ তালা হয়ে যায় তখন ইমারত পরিদর্শকরা এসে তদারকি করেন, ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেন এভাবেই আমাদের ফাঁদে ফেলেন এবং জিম্মি করে অনৈতিক ভাবে উৎকোচ দানে বাধ্য করেন। ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেন 2C ফাইল করে নোটিশ পাঠিয়ে অফিসে ডেকে এনে আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা আদায় করে থাকে। এবিষয়ে শামীম হোসেন এর বক্তব্য গ্রহনের জন্য একাধিক বার তাঁহার সাথে যোগাযোগ করলে সর্বশেষ ২৮ আগষ্ট বুধবার প্রতিবেদককে অফিসে এনে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রেখে আর অফিসে আসেন নাই এমন কি ক্ষুদে বার্তার জবাবও তিনি দেন নাই। এ বিষয়ে রাজউক জোন ৩ এর পরিচালক তাজিনা সারোয়ার এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


প্রকাশক ও সম্পাদক : মো. শফিউল আজম প্রধান সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী

রেজি : নং-ডিএ ৫০৩৪

বাণিজ্যিক কার্যালয় : ১১৫/২৩ আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০, ফোন : ০১৭৫৯-৯১৯৫২৮, ০১৬১২-১৬২৫৬৩, ইমেইল : shofiul.azam24@gmail.com

বার্তা বিভাগ : editor.aparadhsutro@gmail.com ফোন : ০১৬১২-১৬২৫৬৩, ০১৭১৬-৩৪০৮৬৩

© অপরাধ সূত্র ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।