নিউজ ডেস্ক | /APARADHSUTRA.COM
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, সময়ঃ ০৬:২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজউক জোন ৩/১ এর ইসিবি, মানিকদী, আলব্দীরটেক এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত ইমারত পরিদর্শক আতিফ ইমন এর দায়িত্বে অবহেলা ও দূর্নীতির ব্যপক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
রাজউক জোন ৩/১ এ যোগদানের বয়স স্বল্প হলেও ছদ্মবেশীতা পারদর্শিতার দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দূর্নীতির শীর্ষে পৌঁছেছে। অভিযোগ পাওয়া যায় তিনি নিয়মিত অসুস্থ থাকার বাহানায়, অনুপস্থিতির সংখ্যার চেয়ে তার অফিসে উপস্থিতির সংখ্যা অনেক কম ছুটির দিন গুলো বাদেই। তবে ইমারত পরিদর্শক আতিফ ইমন এর অফিসে উপস্থিতি কম থাকলেও দূর্নীতিতে তিনি সিনিয়রদেরও হার মানিয়েছেন। জানতে পারা যায় এর পিছনে রাজউক জোন ৩ এর পরিচালক ও একজন হলুদ সাংবাদিক এর ছত্র ছায়ায় বেপরোয়া দূর্নীতি করে যাচ্ছে। নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান "হাত খুলে কামিয়ে নেন আমার ভাগটা ঠিক রাইখেন তাহলে কোন সমস্যা নেই, কোন সাংবাদিক বিরক্ত করলে আমি রক্ষা করবো" বলে ইমনকে সাহস দেয় সাংবাদিক আলম, আর এই সাহসেই সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পল্লবী থানাধীন আলব্দীরটেকে ও ২৬ জুন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন দক্ষিণ মানিকদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল পরবর্তীতে সেই সকল ভবন সমুহের নির্মাণকারীদের নিকট থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহণ করে পূর্বাবস্থায় ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন মৌখিক ভাবে এবং বর্তমানে দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে দিন রাত একাধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দেখতে পাওয়া যায় সরজমিনে ঘুরে এসে। আলব্দীরটেক ও মানিকদি এলাকায় প্রায় দুইশতাধিক নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে যার কোন একটিতেও রাজউক নির্দেশিত বিধি অনুসরন করে ভবন নির্মাণ করছে না কেহই, আর এ-ই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ইমারত পরিদর্শক আতিফ ইমন তাঁরই ব্যাক্তিগত সহকারী মনির'কে দিয়ে সাইট ভিজিট করিয়ে ভবন নির্মাণকারীদের নিকট থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মানিকদী এলাকায় উচ্ছেদকৃত ভবন সহ আশেপাশে প্রায় ১০টি ভবনের কোন রাজউকের অনুমোদন নেই। এ-ই এলাকার রাস্তা ৩-৪ ফিট হওয়ায় এখানে রাজউক অনুমোদন দেয়া হয় না। তারপরেও এখানে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। এই সুযোগটি ব্যবহার করে ইমারত পরিদর্শক আতিফ ইমন এসব অনুমোদন হীন ভবন নির্মাণকারী দের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকার উপর আর এই উৎকোচ গ্রহণে সহায়তা করেছে সাহাদৎ নামীয় স্থানীয় ঠিকাদার। এবিষয়ে জানতে ইমারত পরিদর্শক আতিফ ইমন এর অফিসে না-পেয়ে তাহার মুঠোফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি, তবে তাহার ব্যাক্তিগত সহকারী মনির জানান তিনি অসুস্থ।
আতিফ ইমন এর সার্বিক বিষয়ে জানতে রাজউক জোন ৩ এর পরিচালক তাজিনা সারোয়ার এর সাথে দেখা করতে তার অফিসে গেলে তিনি হেড অফিসে আছেন বলে জানতে পারা যায়। পরবর্তীতে তাহার মুঠোফোনে কল দিয়েও কোন সারা পাওয়া যায়নি।
© অপরাধ সূত্র ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।