নিউজ ডেস্ক | /APARADHSUTRA.COM
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, সময়ঃ ০৩:৩৪
ভোলার লালমোহন উপজেলার হাজিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনে শিক্ষাকার্যক্রম চালাতে পারছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাঁচ বছর ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঐ বিদ্যালয়টির নির্মাণকাজ ঝুলিয়ে রাখার কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পাশের জরাজীর্ণ ছোট্ট ভবনে গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এ নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা আকতার বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন পেয়েছি, যেটার কাজ শুরু হয়েছে পাঁচ বছর আগে। সেটা এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। সামনে শিক্ষার্থী আরও বাড়বে, তখন হয়তো মাঠে পাঠদান করাতে হবে। ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
তিনি আরও জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৩ কোটি ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে দেড় বছরের মধ্যে ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। চুক্তি মোতাবেক ২০১৯ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলি এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু গত প্রায় পাঁচ বছরেও বিদ্যালয়টি হস্তান্তর করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
জানতে চাইলে ভবন নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা তদারকি কর্মকর্তা ভোলা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন বলেন, কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ঐ সময়েরও ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খোকন গোলদার বলেন, ‘কাজটি আমার কাছ থেকে লালমোহনের শাহাবুদ্দিন নামের এক ঠিকাদার সাব কনটাক্টে নিয়েছে। তাকে বারবার তাগাদা দিয়েও কাজ করানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তাকে বলেছি কাজটি ফিরিয়ে দিতে, শাহাবুদ্দিন সেটাও করছে না।
© অপরাধ সূত্র ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।