অপরাধ সূত্র :
সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমানকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি এবং তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে স্থগিতাদেশ দেননি আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও এক প্রার্থীর করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদেশের পর মুহিবুর রহমানের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, মুহিবুরের প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেননি আপিল বিভাগ। ফলে তাঁর প্রার্থিতা বহাল রইল। মুহিবুর যথারীতি তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। মুহিবুর রহমান বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে গত ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর ইসি আপিল নামঞ্জুর করে। ফলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এ অবস্থায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাঁকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেন। ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি ও আসনটিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী মো. জহির আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন। আবেদন দুটি গত ৩১ ডিসেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ পৃথক আবেদন কার্যকালিকায় ওঠে। আদালতে জহিরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী। মুহিবুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক, সঙ্গে ছিলেন এম মনজুর আলম ও মো. তায়্যিব–উল–ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইয়াছিন খান।