অপরাধ সূত্র :
২০২০ থেকে ২০২৪ এ চার বছরে দ্বিগুণ হয়েছে বিশ্বের পাঁচ শীর্ষ ধনী ব্যক্তির সম্পদ। বিগত চার বছরে তাদের সম্পদ ঘণ্টায় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার করে বেড়েছে। এই সময়ে আগের চেয়ে আরও বেশি গরিব হয়েছেন বিশ্বের প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ।
আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অক্সফামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। অক্সফাম জানিয়েছে, গত ৪ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনী হলেন- ফরাসি বিলাসী পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠা লুই ভিতোঁর প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, আমাজনের জেফ বেজোস, বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট, ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। এই ৫ ধনকুবেরের সম্পদ প্রতি ঘণ্টায় ১৪ মিলিয়ন ডলার হারে বেড়েছে। ধারাবাহিকভাবে তাদের সম্পদ বাড়তে থাকলে শিগগিরই হয়তো পৃথিবীবাসী আগামী এক দশকের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার দেখতে পাবে। মূল্যস্ফীতির হিসাব বিবেচনায় নিয়েই ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদ ৪০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলার।
সম্পদশালী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ইলন মাস্ক। তিনি টেসলা, স্পেসএক্স, এক্সসহ (সাবেক টুইটার) বেশ কয়েকটি সংস্থা চালান। গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ৭৩৭ শতাংশ বেশি।এরপরের স্থানেই আছেন ফরাসি বিলাসী পণ্যের জায়ান্ট লুই ভিতোঁর চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ১১১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
একই সময়ে ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের মোট সম্পদ ১০৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। আর বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ এ সময়ে ৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে।
অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনীদের সম্পদের পাহাড় আরও বাড়লেও একই সময়ে মূল্যস্ফীতি, যুদ্ধ ও জলবায়ু সংকটের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বের প্রায় ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০০ কোটি মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বে দারিদ্র্য দূর করতে ২৩০ বছরের মতো সময় লাগবে।