অপরাধ সূত্র :
ইরানে মাসা আমিনির মৃত্যু নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রকাশ করার কারণে দুই নারী সাংবাদকিকে প্রেপ্তার করেছিল দেশটির সরকার। প্রায় এক বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বিবিসি।দুই নারী সাংবাদিকই তাদের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিলের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা জামিনে মুক্ত থাকবেন। খবরে বলা হয়, ২ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ জামানতে দুই নারী সাংবাদিককে জামিন দেওয়া হয়। জামিনে থাকাকালে তারা দেশত্যাগ করতে পারবেন না।ইরানের কঠোর ইসলামি পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মাসা আমিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান। তার মৃত্যুর জেরে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
মাসা আমিনির দাফনের পর ইরানে প্রথম বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভ দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা আরও স্বাধীনতা দাবি করেন। তারা সরকারের পতন দাবি করেন। ইরানের কর্তৃপক্ষ দাবি করে, আগে থেকে বিদ্যমান শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, তথ্যপ্রমাণ বলছে, নীতি পুলিশের ‘মারধরের’ কারণে মাসা আমিনি মারা গেছেন।