অপরাধ সূত্র :
আমিনুল ইসলাম বাবু :
আলবদীর টেক ও বাইগার টেক এলাকায় রাজউকের নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণে ব্যর্থতার হার ১০০% কারন অনুষন্ধানে পাওয়া যায় জমির মালিকগন অধিকাংশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা বা তাদের আত্মীয় স্বজন, পাশাপাশি রাজউকের ইমারত পরিদর্শকদের দায়িত্বে অবহেলা ও দূর্নীতি পরায়নতা রাজউক ভবন নির্মাণ নীতিমালা লঙ্ঘন করার যোগসূত্র পাওয়া যায়। রাজউকের জোন ৩/১ এর আওতাধীন আলবদীর টেক ও বাইগার টেক এলাকার শত ভাগ ভবন নির্মাণ হচ্ছে রাজউক বিধি লঙ্ঘন করে। এলাকায় ইতিপূর্বে ৫-৬টি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও তা পূর্বাবস্থায় নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছে ভবন নির্মাণকারীরা। এবিষয়ে কতিপয় নির্মাণকারীর সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় এ-ই এলাকার অধিকাংশ প্লটের মালিকগণ বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আছেন বা ছিলেন মূলত এদের প্রভাবে এবং রাজউক এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত থাকায় রাজউক এর নিয়ম তোয়াক্কা করেন না কেহই। এই এলাকায় বে আইল্যান্ড লি:, বিএইচ বিল্ডার্স লি:, একে বিল্ডার্স লি: সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি অসংখ্য ভবন নির্মাণ করে আসছেন যেখানে কোন প্রকার রাজউকের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করেন নাই।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারা যায় রাজউকের জোন ৩ এর সাবেক পরিচালক তাজিনা সারোয়ার এর সম্পৃক্ততা। এছাড়াও সাবেক ইমারত পরিদর্শক গণের তথ্য অনুযায়ী নোটিশ করে ভবন মালিকদের মহাখালীস্থ রাজউক অফিসে ডেকে এনে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মৌখিক ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। যার ফলশ্রুতিতে এলাকা দুটির একটি ভবনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যেটিতে রাজউকের বিধি মোতাবেক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
বর্তমানে উক্ত এলাকার চলতি দায়িত্বে থাকা ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেন এর নিকট নির্মাণাধীন ভবন সমূহে রাজউক বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকাটিতে নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে বেশকিছু ভবন পরিদর্শন করে নোটিশ প্রদান করেছি, চলতি মাসে উচ্ছেদ বা মোবাইল কোর্ট এর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর অনুরোধ করবো।
আলবদীর টেক ও বাইগার টেক এলাকায় ভবন নির্মাণে রাজউকের বিধি লঙ্ঘন সম্পর্কে রাজউক জোন ৩/১ এর অথরাইজড অফিসার শেখ মো. মাহাব্বীর রনি এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ট্রেনিং এ দেশের বাহিরে ছিলাম ১মাস, আমি শীঘ্রই এই আলোচিত এলাকায় উচ্ছেদ এর ব্যবস্থা গ্রহন করতে চেষ্টা করবো।