অপরাধ সূত্র :
আমিনুল ইসলাম বাবু :
অর্ধশতাধিক আইডি হ্যাক করে ১৫ জনের অধিক ভিকটিমকে ২ বছর যাবৎ ব্ল্যাকমেইলিং করে আসছিলো একটি হ্যাকার চক্র, হ্যাকার চক্রটি অবশেষে সিআইডির জালে গ্রেফতার হয়েছে।
সাইবার পুলিশ সেন্টার(সিপিসি) এর ডিআইজি এস এন মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম আজ সোমবার ২৮ অক্টোবর সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডির একটি চৌকস টিম ২৭/১০/২০২৪ তারিখে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর-১০ থেকে অভিযান পরিচালনা করে প্রাইভেট বিশ্বিদ্যালয় পড়ুয়া আসামী মোঃ ফজলে হাসান অনিক (২৪), পিতাঃ আইনুল হক, সাং-নেংটাদাহ, মাঝগাও, উপজেলাঃ বড়াইগ্রাম, জেলাঃ নাটোরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী উক্ত অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামী আরো জানায় সে বিগত ০২ বছর যাবত অর্ধশতাধিক ভিকটিমের ফেইসবুক আইডি হ্যাক করেছে এবং১৫ জনের অধিক ভিকটিমের ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেফতারকালে তার দখল হতে অপরাধে ব্যবহৃত ০১ (এক) টি মোবাইল ও ০১ টি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়। ইতোমধ্যে তার নামে মোহাম্মাদপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সাইবার পুলিশ সেন্টার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাইবার স্পেসে সংঘটিত যে কোন অপরাধ নির্মূল ও প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে সাইবার পেট্রোলিং ও মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।
ইতোপূর্বে ১৮/১০/২০২৪ তারিখে আইডি হ্যাক করে একান্ত ব্যাক্তিগত ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি ছায়া তদন্ত করে একজন হ্যাকারকে সনাক্তপূর্বক বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানাধীন এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে। যা বাংলাদেশের বেশির ভাগ জাতীয় পত্রিকায় নিউজ হয়। বর্তমান ভিকটিম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উক্ত সংবাদ দেখে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার, সিআইডিতে অভিযোগ দেয়। একই সাথে Police Cyber Support For Women, Police Headquarters থেকেও একাধিক ভিকটিমের অভিযোগ পাওয়া যায়।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি ছায়া তদন্ত করে অপরাধের ধরন ও হ্যাকারকে সনাক্ত করে। গত বছর আগস্ট মাসে ভিকটিমের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে একটি লিংক আসে। লিংকে ক্লিক করে না বুঝেই তার ফেসবুক ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে। ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি, ভিকটিমের ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড চলে যায় হ্যাকার এর দখলে।হ্যাকার ভিকটিমের ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার থেকে কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে হ্যাকার ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও তার আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত লোকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক ধাপে কৌশলে হ্যাকারের পরিচয় গোপন রাখার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরেও যখন টাকার দরকার হত তখনই ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইল করত।