অপরাধ সূত্র :
এ্যাড. হোসেন হোসেন: স্বৈরাচ্চার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও সাভারের স্থানীয় কৃষকলীগের ৮নং ওয়ার্ড এর সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী বাবলু ওরফে বিহারী বাবলুর ত্রাসের রাজত্ব চলছেই। ছেলে ছাত্রলীগ ক্যাডার শোয়েব ও স্বজনদের নিয়ে গড়ে তোলা বাহিনী সাভার সিটি কর্পোরেশনের পুরো ৮ নং ওয়ার্ডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এখনো রয়েছে বহাল তবিয়াতে। আওয়ামী লীগের শাসনামলের পুরোটা সময় ধরে রাজাশনসহ আশপাশ এলাকাসমূহের সাধারন মানুষেদের জিম্মি, অন্যের জমি জাল জালিয়াতি, ও চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। বিহারী বাবলুর শেল্টার দাতা হিসেবে কাজ করছেন সাভারের সাবেক মেয়র আব্দুল গনীর দক্ষিণ হস্ত কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল মান্নান। রাজাকার আব্দুল মান্নান ও তার ছেলের হেলালের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ আব্দুল মান্নানের দুর্নীতির খতিয়ান লিখতে গেলে এক ইতিহাস রচিত হবে যাহা তদন্ত শেষে প্রকাশ করা হবে। রাজাকার আব্দুল মান্নান এর পুত্র হেলাল বর্তমান সাভার থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার অতি ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে এলালায় প্রভাব বিস্তার করছে, জানা যায় সাভার থানার কতিপয় দুর্নীতিবাজ এক পুলিশ কর্মকর্তা ও সাভার সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনারের ছেলের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে টাকার বিনিময়ে জামায়াতের কর্মীকে আওয়ামী লীগ সাজিয়ে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিহারী বাবুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জাল-জালিয়াতি, দখল বাণিজ্য, অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকালেও আইনের আওতায় এসেছেন, এমন উদাহরণ নেই । বিস্মময়কর বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজাশন এলাকায় কৃষকলীগের এই নেতাকে হত্যাসহ ৩টি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা নং- ১৬ তাং ১৬-৯-২৪ইং, মামলা নং- ৪৪ তাং - ১৬-৯-২৪ইং। ছাত্র জনতার সরকারের সময়ও তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোহিত করা যাচ্ছে না। বরং অভিযোগ আছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এই বিহারী বাবলু আরো বেপরোয়া হয়েছে। ছাত্র জনতার গন আন্দোলনের সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাজিবের দিকনির্দেশনায় শত শত লোক নিয়ে পাকিজা মোড় ও সাভার বাসস্টান দখলে রেখেছিলেন এই বিহারী বাবলু। গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলেও পতন হয়নি বিহারী বাবলুর এই জনবান্ধব ড. ইউনুস সরকারের সময়েও বিহারী বাবলু তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বেশ দাপটের সাথে। জানা জায় রাজাশন পলুর মার্কেট সংলগ্ন সংখ্যালঘু অখিল রোজারিও গং ও মার্সেল রেগ গংদের জমি নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে দেওয়ানী আদালতে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে দেওয়ানী মকদ্দমা নং- ৪৯৭/২০২৪ এবং ৩২৬/২০২৪ উক্ত মামলায় বিচারাধীন জমি ক্ষমতার দাপটে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জোর করে প্রতারণায় আশ্রয় নিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিভিন্ন লোকের কাছে প্লট করে জমি বিক্রয় করছেন বলে জানা যায়। অনেকেই বায়না দেওয়ার পর মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার পর টাকা ফেরত নিয়েছেন। রাজাশন এলাকার আবুল নামক জনৈক ব্যক্তি লালটেক এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় বাধা প্রদান করলে বিহারী বাবলু বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমকি প্রদান করে। শাজাহান নামক জনৈক ব্যক্তি বলেন জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমাকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা গ্রহণ করেছে বিহারী বাবলু। বাবলু কর্তৃক নির্যাতিত, ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় সুশীল সমাজ, দুর্নীতর বর পুত্র কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক বিহারী বাবলুকে আইনের আওতায় আনার জন্য যৌথবাহিনীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন