অপরাধ সূত্র :
বিশেষ প্রতিবেদক:
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের জোন ৪/১ এর ইমারত পরিদর্শক প্রশান্ত দত্তের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায় যে, ইমারত পরিদর্শক প্রশান্ত দত্ত রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় কর্মরত। এই এলাকার নির্মাণাধীন ভবন সমুহ ব্যাক্তি মালিকানা, যৌথ মালিকানা ও ডেভেলপার কোম্পানির দ্বারা নির্মাণ করা হচ্ছে। যাহার প্রায় ৯৫ ভাগ রাজউকের ভবন নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন করে নির্মিত। এ ভবন সমুহে রাজউক জোন ৪/১ এর ইমারত পরিদর্শক প্রশান্ত দত্ত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই এলাকার রাস্তাগুলি যথাযথ প্রসস্ত না থাকায় সেখানে রাজউক ৫/৬ তলার বেশী অনুমোদন না দিলেও পরিদর্শক প্রশান্ত দত্ত
সেগুলোকে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে মৌখিক অনুমোদন দিয়ে বৃদ্ধি করে দিয়েছেন আরো ১টি থেকে ২টি ফ্লোর নির্মানের সুযোগ, আবার কেউ তার অনুমিত ছাড়া এমন কাজ করলে তাকে নোটিশের মাধ্যমে অফিসে ডেকে এনে বর্ধিত অংশ ভেঙে অপসারণ করার ভয় দেখিয়ে আদায় করেছেন ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। উত্তর বাড্ডার ময়নারবাগ (হোসেন মার্কেট সংলগ্ন) এলাকায় ১০ তালা ভবন নির্মান হচ্ছে যার সামনের সড়ক ১০ ফিট এরও কম। রাস্তা প্রসস্থ করার শর্তে রাজউক থেকে ৭তলা বিশিষ্ট ভবনের প্ল্যান অনুমোদন নিয়ে শতভাগ ডেভিয়েশন করে ১০ তালা ভবন নির্মাণ করছে মর্মে ইমারত পরিদর্শক প্রশান্ত দত্ত'কে জানানো হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ সেরে ভবনে লোক উঠিয়ে দিতে পরামর্শ দেন এবং সেই মতোই কাজ করে যাচ্ছে ভবন নির্মাতা। মিস্রিটোলা'য় ৫/৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তার পাসে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন, যাহার কোনটিরই নেই কোন রাজউক অনুমোদন। অভিযোগ পাওয়া যায় এসকল ভবন থেকে ইমারত পরিদর্শক প্রশান্ত দত্ত নিয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকা। এছাড়াও উত্তর বাড্ডা পুরাতন থানা রোড, ভুতের গলি, হাছান উদ্দিন রোড উত্তর স্বাধীনতা স্বরণী রোডে যে সকল ভবনগুলো রাজউকের নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তৈরীর কারনে বর্ধিতাংশ অপসারন করা হয়েছিল বা সংশোধন করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছিল সেই সকল ভবন মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে তিনি নিশ্চুপ হয়ে আছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে যার ফলে ভবন মালিকেরা তাদের পুর্বের অবকাঠামো অনুযায়ী ভবন নির্মান করে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে।
এ বিষয়ে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক প্রশান্ত দত্তের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি, ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য চাইলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
ইমারত পরিদর্শক প্রশান্ত দত্তের দূর্নীতির বিষয়ে জানতে রাজউক জোন ৪/১ এর অথরাইজড অফিসার ইমরুল হাসানের অফিসে যোগাযোগ করে তাহাকে পাওয়া যায়নি।