সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় দলিল নিবন্ধনে ভোগান্তি

Shafiul
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ | সময়ঃ ০৩:৩১
photo

অপরাধ সূত্র :

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা। সপ্তাহে এক দিন অফিস চলায় সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। অন্যদিকে উপজেলার সাবেক সাবরেজিস্ট্রার অভিজিত কর দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকা অবস্থায় দুই শতাধিক দলিলে তার স্বাক্ষর না থাকায় দলিল ডেলিভারি দিতে পারছে না সাবরেজিস্ট্রার অফিস। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

 

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা। সপ্তাহে এক দিন অফিস চলায় সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। অন্যদিকে উপজেলার সাবেক সাবরেজিস্ট্রার অভিজিত কর দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকা অবস্থায় দুই শতাধিক দলিলে তার স্বাক্ষর না থাকায় দলিল ডেলিভারি দিতে পারছে না সাবরেজিস্ট্রার অফিস। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সেবাপ্রার্থীরা জানান, সপ্তাহে এক দিন জমি রেজিস্ট্রি হয়, এতে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা অনেকে জমি বেচাকেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

 

দলিল গ্রহীতারা জানান, তারা এক বছর আগে দলিল করেছেন। দলিল আনার জন্য সাবরেজিস্ট্রার অফিসে গেলে বলা হয়, তৎকালীন সাবরেজিস্ট্রার দলিলে স্বাক্ষর না করে অন্য জেলায় বদলি হয়েছেন। তিনি এক দিন এসে দলিলে স্বাক্ষর করলে দলিল ডেলিভারি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে দলিল লেখকরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে এক দিন জমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ব্যাংক ড্রাফট, জমির কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতেই বেলা শেষ হয়ে যায়। ঐদিন কোনো কারণে জমির দলিল না হলে, পরের সপ্তাহের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে জমির মালিকরা জমি বেচাকেনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি দলিল লেখকরাও বেকার হয়ে পড়ছেন।

 

উপজেলা দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক ও সাটুরিয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক যথাক্রমে মো. সিরাজুল ইসলাম ও তোফাজ্জল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন থেকে সাটুরিয়া উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে স্থায়ী কোনো সাবরেজিস্ট্রার নেই। ফলে জমি বেচাকেনায় হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক দলিল লেখক।

 

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বদলিজনিত কারণে পদ শূন্য থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই উপজেলায় শূন্য পদের সাবরেজিস্ট্রার যোগদান করবেন।

  • নিউজ ভিউ ৩৪